Thursday, 15 November 2018

বাংলা সন্ধি

 সন্ধির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা

তৎসম সন্ধি

বাংলা সন্ধি
 বাংলা সন্ধি দু প্রকার:  ১। স্বরসন্ধি,   ২। ব্যঞ্জনসন্ধি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম সন্ধি ৩ প্রকার।
১। স্বরসন্ধি, ২। ব্যঞ্জনসন্ধি, ৩। বিসর্গসন্ধি।

বাংলা সন্ধি
স্বরসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে স্বরসন্ধি বলে।
রুপা + আলি = রুপালি
সোনা + আলি = সোনালি
শাঁখা + অারি = শাঁখারি
শত + এক = শতেক
মা + এর = মায়ের
মিথ্যা + উক = মিথ্যুক
হিংসা + উক = হিংসুক
নিন্দা + উক = নিন্দুক
গুটি + এক = গুটিক
কুড়ি + এক = কুড়িক
ধনি + এক = ধনিক
আশি + এর = আশির
নদী + এর = নদীর
যা+ ইচ্ছা + তাই = যাচ্ছেতাই।

ব্যঞ্জনসন্ধি: স্বরধ্বনির সাথে ব্যঞ্জনধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে ব্যঞ্জনধ্বনি অথবা ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির যে মিলন হয় তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
কাঁচা + কলা = কাঁচকলা
ছোট + দা= ছোড়দা
আর + না = আন্না
ধর্‌ + না = ধন্না
চার + টি = চাট্টি
দুর্‌ + ছাই = দুচ্ছাই
নাতি + বৌ= নাতবৌ
উৎ + চারণ = উচ্চারণ
নাত + জমাই = নাজ্‌জামাই
বদ + জাত = বজ্জাত
হাত + ছানি = হাচ্ছানি
পাঁচ + শ = পাঁশ্‌শ
সাত + শ = সাশ্‌শ
পাঁচ + শিকা = পাঁশ্‌শিকা
বোন + আই = বোনাই
...................
পরীক্ষা: বাংলা সন্ধি





ভাষার সংজ্ঞা

                   ভাষা কী?                 
মনের ভাব প্রকাশ করার প্রধান মাধ্যম হল ভাষা। ভাব বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা যায়। যেমন:  ইশারায়, ছবি এঁকে, অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে। কণ্ঠধ্বনির সাহায্যে মানুষ যত বেশি মনের ভাব প্রকাশ করে অন্য কোনো ভাবে তা পারে না। আর এর প্রধান কারণ অন্যরা কণ্ঠধ্বনি সহজেই বুঝতে পারে। কণ্ঠধ্বনি বলতে মুখগহ্বর, কণ্ঠ, নাক ইত্যাদির সহায্যে উচ্চারিত বোধগম্য ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে বোঝায়। এই ধ্বনিই হল ভাষার মূল উপাদান। ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগ্‌যন্ত্রের মাধ্যমে। বাগ্‌যন্ত্র হল মানুষের গলনালি, দাঁত, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিহ্বা, তালু, নাক ইত্যাদির সহযোগ। 
বাগযন্ত্রের মাধ্যমে উচ্চারিত যে কোনো ধ্বনিই ভাষা নয়। ধ্বনির অর্থ ও ধারাবাহিকতা না থাকলে আমরা সেটিকে ভাষা বলতে পারি না। আর এ কারণেই পশু-পাখির দ্বারা সৃষ্ট আওয়াজ ভাষা নয়।
 সুতরাং মানুষের বাগযন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই হলো ভাষা। বাগযন্ত্র দ্বারা সৃষ্ট ধ্বনির প্রতীক আবিষ্কারের মাধ্যমে কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনির লিখিত রূপ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্থান, কাল, সমাজভেদে ভাষার রূপভেদ হয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

               ভাষার সংজ্ঞা:             

বিভিন্ন ভাষাবিদ ভাষাকে বিভিন্নভাবে ভাষাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন:
মনের ভাব-প্রকাশের জন্য, বাগ্‌যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন, কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, তথা বাক্যে প্রযুক্ত, শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে:
মনুষ্য জাতি যেসব ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টির সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে তাকে ভাষা বলা হয়ে থাকে।
ড. মুহম্মদ এনমুল হক এর বলেছেন:
মানুষ বাগ্‌যন্ত্রের সাহায্যে সমাজভুক্ত জনগণের বোধগম্য যে সমস্ত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি উচ্চারণ করে সে সমস্ত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে ভাষা বলে।
ড. সুকুমার সেনের মতে:
মানুষের উচ্চারিত, অর্থবহ বহুজনবোধ্য ধ্বনিসমষ্টিই ভাষা।
ড. মুহম্মদ আব্দুল হাই এর মতে:
এক এক সমাজের সকল মানুষের উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টিই ভাষা।
সাধু ও চলিত ভাষা........

ভাষার বৈশিষ্ট্য.....

বাংলা ভাষা........

Wednesday, 14 November 2018

বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধপ্রয়োগ

অনুশীলন
অপপ্রয়োগ:
এইবার স্যার আমাদের উপর রাগিয়া গিয়েছেন সেদিন বল্লেন, ‘তোমরা ম্যাট্রিক পাস করিয়া আসিলে কি করে? মুহূর্ত, মনীষি, দন্দ, বেবধান, নুপুর, বাণিজ্য ইত্যাদি বানান পর্যন্ত ভুল কর। মনে রেখ এই সমস্ত ভুলের জন্য তোমাদের মাফ করা হবে না’।

অপপ্রয়োগ:
আজকাল বানানের ব্যাপারে সকল ছাত্ররাই অমনোযোগী। বানান শুদ্ধ করে লেখার জন্য তাহারা ত সচেষ্টিত নহেই, বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তাহারা সবাই ভুল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
 কিছুক্ষণ পর মিজান বলল, এটি লজ্জাকর ব্যাপার; আমরা থাকতে মেয়েরা গাছে উল্লষ্ফন করবে এটি সঠিক নয়। এই বলে মিজান একটি গাছ বেয়ে ওপরে উঠল। অন্যরা তা দেখে গৌরবান্বিত হলো।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
ইদানিংকালে ইংরেজি ধাঁচে বাংলা বলার অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় পঁচিশ কোটি। শুধুমাত্র গায়ের জোরে কাজ হয় না। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অমনোযোগী থাকে বলে বানান ভুল করে। সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে হবে।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী ও বিনয়ী। তার মেধা পরিদর্শন করে সবাই মুগ্ধ শিক্ষকবৃন্দরা মনে করেন, আগামী ভবিষ্যতে সে অসামান্য সাফল্যতা বয়ে আনবে, যা ইতিপূর্বে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
রাত জেগে ফেইসবুক দেখে অনেক ছাত্ররা নিজেদের শরীরের ক্ষতি করছে। এতে তারা যেমন মানসিক দৌর্বল্যতায় ভুগছে তেমনি পড়শুনায় হচ্ছে অমনোযোগী। তাছাড়া আবশ্যকীয় প্রস্তুতির কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে না পেরে অনেকে চোখে সর্ষে পুষ্প দেখে।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
নিজ ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যতা দেখাতে সে সর্বদা সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে বিনা প্রয়োজনে মিটিং চলাকালীন সময়েও সে যখন-তখন দাঁড়িয়ে পড়ে। কেউ তার সমালোচনা করলে অপমানবোধ করে সে। নিজের দৈন্যতা সে বুঝতেই পারে না কখনো। তাই নিজ অহংকারবোধ নিয়েই চলতে থাকে সে।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
দিন দিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে যুবসমাজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশ মহা সংকটে পড়বে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
আকণ্ঠপর্যন্ত ভোজন করলে বা ভোজনে অনিয়মিত হলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে। এটা জানা আবশ্যকীয়। স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে শিক্ষকসভায় এ বিষয়ে সেমিনার আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত করা হয়।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
রহিমা দেখতে রূপবতী। কিন্তু সে বিদূষী নয়। তাই জৌতুক ছাড়া তাকে বিয়ে দেয়া গেল না। তার স্বামীর পরিবারে ঐক্য ছিলো না। তবে তার স্বামী সানন্দিত চিত্ত মানুষ ছিলেন।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
তরুণ সুবুদ্ধিমান ছেলে। কিন্তু সংসারের দীনতায় সে পড়শোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। উদয়াস্ত পর্যন্ত পরিশ্রম করে তবু দারিদ্র্যতা দূর হয় না। আকণ্ঠ পর্যন্ত ভোজন সে কখনও করতে পারে নি।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
এমন লজ্জাস্কর ব্যাপার কখনো দেখি নাই। ছেলেটি বংশের মাথায় চুনকালি দিয়েছে। ওর বাবা-মায়ের আর বাঁচার স্বাদ নেই। তারা খুবই অপমানিত হয়েছেন। সবাই ওকে চরিত্রবান মনে করত।
শুদ্ধপ্রয়োগ:

অপপ্রয়োগ:
আগামীকাল কলেজ বন্ধ থাকবে। আজ ছাত্রদের অনুপস্থিতি কম। ছাত্রদের অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সুশিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই স্বশিক্ষিত। কলেজ অধ্যক্ষ জাতীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

Tuesday, 13 November 2018

এইচএসসি বোর্ড প্রশ্ন ২০১৮ (বাংলা ২য় পত্র)

গাজর                                 ১৮৪                          ১০০২/২০১৮
ক সেট
বাংলা (আবশ্যিক)
[২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী]
দ্বিতীয় পত্র
   বিষয় কোড: 
 1

সময়-৩ ঘণ্টা

পূর্ণমান-১০০

[দ্রষ্টব্য:- ডান পাশের সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক। একই প্রশ্নে উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতি মিশ্রণ দূষণীয়।]

১। (ক) ‘এ’ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ। 
অথবা, 
    (খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:
         শ্রাবণ, রাষ্ট্রপতি, শ্রদ্ধাস্পদ, নক্ষত্র, অত্যাবশ্যক, দায়িত্ব, প্রেতাত্মা, প্রজ্ঞা। 

২। (ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে ই, উ, ক্ষ, শ এবং রেফ (´) ব্যবহরের নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
    (খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ: 
         স্বত্তা, সমিচীন, আইনজীবি, পোষ্টমাষ্টার, মূর্চ্ছনা, বিদূষি, উচ্ছাস, ইতিমধ্যে। 

৩। (ক) যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা, 
    (খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে নিম্নলেখ শব্দগুলোর ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর।
         সে ছিল চমৎকার এক সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে। তার ছিল না কোনো আনন্দ, কোনো আশা। পরিচিত হবার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেমলাভ করার এবং কোনো ধনী অথবা বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বিবাহিত হওয়ার কোনো উপায় তার ছিল না। তাই শিক্ষা পরিষদ আপিসের সামান্য এক কেরানির সঙ্গে বিবাহ সে স্বীকার করে নিয়েছিল।
৪। (ক) যে কোনো পাঁচটি শব্দের প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় কর। জয়, নীলিমা, উক্তি, প্রেম, সম্রাট, খোদাই, প্রাচুর্য, ধার্মিক।

অথবা, 

(খ) বাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর (যে কোনো পাঁচটি ):
প্রভাকরউপনদীরাজপথউদ্বেলবীরকেশরীআশীবিষবইপড়াঅহিনকুল

৫। (ক) বাক্য কীসার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ আলোচনা কর
অথবা,
(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটির বাক্যান্তর কর:
(i) সাহিত্য জীবনের স্বাভাবিক প্রকাশ (প্রশ্নবোধক)
(ii) বিপন্নদের সেবা করা কর্তব্য (অনুজ্ঞাসূচক)
(iii) রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই চমৎকার (বিস্ময়বোধক)
(iv) অনুষ্ঠানটি আমি উপস্থাপনা করব (নেতিবাচক)
(v) উদারতা কৃপণদের ধর্ম নয় (অস্তিবাচক)
(vi) সূর্যোদয়ে অমানিশা কেটে যাবে (জটিল)
(vii) যারা সংস্কৃতিবানতারা শান্তিপ্রিয় হয় (সরল)
(viii) যদিও সে অশিক্ষিততবুও সে দেশপ্রেমিক (যৌগিক)




৬। (ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্যের অপপ্রয়োগ শুদ্ধ করে লেখ:
(i) তিনি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দেবে।
(ii) প্রয়াত কবিকে আমরা সবাই অশ্রুজলে বিদায় দিলাম।
(iii) তাহারা সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
(iv) সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
(v) এত গৌরব লোপ হয়ছে।
(vi) শ্রাবণী অত্যন্ত বুদ্ধিমান মেয়ে।
(vii)সকল সদষ্যগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
(viii)পরর্বীতে আপনি আবার আসবেন।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগুলো শুদ্ধ কর:
জমিল সাহেব স্বপরিবারে ছুটি কাটাতে চলেছেন। এবার তাঁর যাত্রা কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত। কিন্তু ট্রেনে কিছু যাত্রীর সৌজন্যতাহীন আচরণে তিনি বড় বিরক্ত হলেন। শিক্ষাসফরের যাত্রীরা অসুরে গলায় সুরদেবীর আরাধনা করছে। তবে তাঁর বিরক্তবোধ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে।
 ৭। (ক) যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ:
Abstract, Bidder, Cold war, Diplomatic, Embargo. Face value, Gratuity, Hygiene, Initial, Myth, Justice, Power house, Queue, Sabotage, Violation,
অথবা,
 (খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর:
 Patriotism is a very noble virtue. It means love for one’s country, A person who loves his/her country more than anything else is called a patriot. Patriotism inspires a man to do everything just and fair for the wellbeing and betterment of the country. It is the invaluable quality that impels a man to sacrifice his own interest, comfort, pleasure and even his/her life for the sake of his/ her country. To a true patriot mother and the motherland are the same.

৮। (ক)  তোমার কলেজে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের একটি দিনলিপি প্রস্তুত কর। 
অথবা,
(খ) ‘সম্প্রদায়গত সম্প্রীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উপযোগী একটি ভাষণ তৈরি কর। 

৯।  (ক) দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্যার্থে রক্ত ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা চেয়ে বন্ধুদের কাছে প্রেরণের জন্য একটি ই-মেইল রচনা কর। 
অথবা, 
(খ) কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ‘বিপণন কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ লাভের উদ্দেশ্যে আবেদন কর।

১০। (ক) সারাংশ লেখ: 
শ্রেষ্ঠ বলিয়া অহঙ্কার করিতে যে লজ্জাবোধ করে না, যে মানুষকে নিম্নাসনে বসাইয়া রাখিতে আনন্দবোধ করে, যে দরিদ্র ও ছোটকে ছোট করিয়া রাখিতে কষ্ট অনুভব করে না, যে মানুষের শক্তি-স্বাধীনতা হরণ করিতে ব্যস্ত, যে মানুষের হাত দিয়া নিজের পায়ের জুতা খুলাইয়া লয়, তোমরা তাহাদিগকে সালাম করিও না। সে সারারাত্রি প্রার্থনা করুক, মানুষ তাহার পদধূলি লইয়া মাথায় মাখুক, সে প্রথম শ্রেণির গাড়িতে চড়ুক, সে রাজ দরবারের সদস্য হউক, তোমরা তাহাকে আত্মীয় মনে করিও না। লক্ষ নরনারী মুক্তির আশায় করুণ নেত্রে তোমাদের দিকেই চাহিয়া আছে। লক্ষ, কোটি মানবাত্মা তোমাদের আগমনের অপেক্ষা করিতেছে। যে দুর্বৃত্তের দল সত্যকে চূর্ণ করিয়া মহান সৃষ্টিকর্তার বাণীকে অবমাননা করিতেছে, তাহাদিগকে দেখিয়া আর তোমরা শ্রদ্ধায় আসন ছাড়িয়া দাঁড়াইও না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, চাই প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।
১১। (ক) ‘শিশু ও নারীর প্রতি সতিংসতা’ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংলাপ রচনা কর। 
অথবা,
(খ)  নিচের উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প লেখ:
 পিতার আকস্মিক মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে গিয়ে লেখাপড়া ছেড়ে চাকরি নিয়েছে রাজু। ছোট ভাই মিঠু ও বোন মিনার মধ্যেই সে দেখতে পায় তার স্বপ্ন পূরণের.....................

১২। যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লেখ:-
(ক) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অামাদের করণীয়:
(খ) ইন্টারনেট ও বর্তমান বাংলাদেশ:
(গ) কৃষিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং কৃষক:
(ঘ) দুর্নীতি: উন্নয়নের অন্তরায়;
(ঙ) বাংলাদেশের উৎসব।
*******পরিসমাপ্তি*******

Featured post

বাংলা সন্ধি

 সন্ধির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা তৎসম সন্ধি বাংলা সন্ধি  বাংলা সন্ধি দু প্রকার:  ১। স্বরসন্ধি,   ২। ব্যঞ্জনসন্ধি। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত...